মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা এলাকার লক্ষীপাশা খেয়াঘাট ব্রিজের পাশে দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম পাশে অবস্থিত কাচ্চি এন্ড কাবাব রেস্টুরেন্ট। এখানে রেস্টুরেন্টের আড়ালে চলছে বিভিন্ন বয়সী কপোত-কপতীদের অশ্লীলতা।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, লোহাগড়া বাজার ব্রীজ সংলগ্ন একটি তৃতীয় তলা বিল্ডিং এর দ্বিতীয় ভাড়া নিয়ে কাচ্চি এন্ড কাবাব নামে রেস্টুরেন্ট করা হয়। যার প্রোপাইটার গোপীনাথপুর গ্রামের কাজী সোহাগ। ওই রেস্টুরেন্ট এর ভেতরে চারপাশে হার্ডবোর্ড দিয়ে টংরুম বানিয়ে বিশেষ করে ইয়াং ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে টংরুমে অশ্লীলতা করার সুযোগ করে দেন রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। এতে করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এদিকে একই বিল্ডিং এর ৩ তলায় রয়েছে তাহফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসা। সেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়।
এছাড়া ওই ভবনের নিচতলায় রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তারা বলেন রেস্টুরেন্টের আড়ালে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ সমস্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড কিভাবে হয় সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এটা।

গোপন সূত্রে জানা যায় ওই রেস্টুরেন্টে কিছুদিন পূর্বে কপত-কপতির জুটি এসে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে তারা আবার ও ওই রেস্টুরেন্টে আসে তখন মেয়ের অভিভাবক তাদের লক্ষ্য করে ওখানে যায় এক পর্যায়ে মেয়েটি সব ঘটনা খুলে বলে।

পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই ছেলেটি বিবাহিত এবং তার একটি বাচ্চাও রয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে সাংবাদিকরা ওই রেস্টুরেন্টে যেয়ে ওই টংরুমে কাগজে লেখা দেখতে পায়, অনুগ্রহ করে মোবাইল ফোন কাউন্টারে জমা রাখুন। এবং ৩০০ টাকার নিচে ফুড অর্ডার নেওয়া হয় না।
আরো লেখা দেখা গেছে এখানে ছবি তোলা করা নিষেধ। উল্লেখ্য সেখানে লেখা দেখতে পাওয়া যায় অনুগ্রহ করে ১০ মিনিটের মধ্যে আবার অর্ডার করুন অন্যথায় ঝুল বারান্দায় গিয়ে বসুন। তাহলে কি হচ্ছে ওই টংরুমে?

বুধবার (২২ মে) বিকালে ওই রেস্টুরেন্টে গেলে অন্য আরেক কপত-কপতিদের অশ্লীল অবস্থায় দেখা মেলে টংরুমে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।

কাচ্চি এন্ড কাবাব রেস্টুরেন্টের বিষয় নিয়ে ফেসবুকে ১টা স্ট্যাটাস দিলে সেখানে শত শত মানুষ কমেন্টে লিখে দেন ওখানকার কীর্তিকালাপ নিয়ে।

এ বিষয়ে তাহফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসার শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবসার আড়ালে অনৈতিক কর্মকান্ড কেউ চালালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ ঘটনায় রেস্টুরেন্ট মালিক সোহাগের সাথে কথা বলে তিনি বলেন, আমার রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকরা কেন গেল। তিনি সাংবাদিকদের নামে জিডি করবে মর্মে ভয় ভীতি দেখান।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নিজে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব এবং সত্যতা পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।